Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপিল কার্যতালিকায় আজহার ও কায়সারের মামলা


৯ এপ্রিল ২০১৯ ২০:৫১

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলা দু’টি এক ও দুই নম্বরে রয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মামলা দু’টির শুনানি হবে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।

এটিএম আজহারুল ইসলাম

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। ওই মামলায় খালাস চেয়ে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি আপিল করেন। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।

তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।

সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করেন কায়সার।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দু‘টিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়।

এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনো সাজা দেওয়া হয়নি তাকে।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর