খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন, পেছাল নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি
১০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:৪৬
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ এপ্রিল) শুনানি শেষে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহসহ তার আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য আসামির অনুপস্থিতে অভিযোগগঠনের শুনানি করা আইন সম্মত নয়।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় উনাকে আদালতে আনতে পারিনা। এড়াছাও এ বিষয়ে আদালত অবহিত রয়েছেন। একটি শর্ট ডেট দেন। যাতে উনি( খালেদা জিয়া) সুস্থ হয়ে আবার মামলার কার্যক্রম শুরু করা যায়।
এর আগে,গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না জানিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন জানান তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
উল্লেখ্য,কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। পরের বছর ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭ শ ৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।
এই মামলায় তিনজন আসামি পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
সারাবাংলা/এআই/জেডএফ