Sunday 20 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অরিত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চার্জশিট গ্রহণ ৩০ এপ্রিল


১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০৫ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগের মামলায় দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।

ওই দুই শিক্ষিকা হলেন— ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা।

এর আগে, গত ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ এপ্রিল) মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ঠিক ছিল। এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ মামলার বাদীর উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে হাজির হতে নোটিশ জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিল চার্জশিট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে দেন তিনি। বর্ধিত এ তারিখ পর্যন্ত আসামিদের জামিন বহাল রাখার আদেশ দেন।

এ মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৯ ডিসেম্বর জামিন পান তিনি। অন্যদিকে, গত ১৪ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের  করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে— এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

অরিত্রী অধিকারী অরিত্রী আত্মহত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর