চসিকে অভিযানে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে: দুদক
১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখায় অভিযানে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। তারা রাজস্ব অফিস থেকে বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করে বলেছেন, চসিকের প্রধান কার্যালয়ের (মেয়রের অফিস) সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে এই অনিয়ম চলছে।
ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করতে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে দুদকের একটি টিম প্রথমে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কার্যালয়ে যায়। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সুনির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে কথাও বলেন তারা। যাচাই করা হয় নথিপত্র।
এরপর বেলা ১২টার দিকে দুদক টিমের সদস্যরা নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৪ এর কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে রাজস্ব শাখার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
অভিযান শেষে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় -১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেড লাইসেন্স শাখায় অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। পরিদর্শকরা নগদ টাকা নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্টভাবে নিবন্ধন করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি অর্থ নেয়া হচ্ছে। করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের সাথে সার্কেল অফিসের সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারি কোষাগারে ঠিকমত রাজস্ব জমা হচ্ছে না।
গ্রাহকদের সাথে তারা কথা বলেছেন উল্লেখ করে লুৎফুল কবীর বলেন, দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। পরিদর্শকদের মধ্যে দুর্নীতির প্রবণতা বেশি। সার্বিক তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় অর্থাৎ নগর ভবনে বসেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সেই ভবনেই রাজস্ব শাখার প্রধান কার্যালয়।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর আমলে প্রথমবারের মতো দুদকের অভিযানের মুখে পড়ল সিটি করপোরেশন।
এর আগের মেয়র বিএনপির এম মনজুর আলমের সময়ও দুদক একাধিকবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে নথিপত্র জব্দ করেছিল।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম