Wednesday 16 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার


১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৫৮ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:০৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গণপিটুনির নামে পরিকল্পিত খুনের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ জানান মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, জামিনে থাকা আসামি ও তাদের আশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের হুমকির ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন মামলার বাদি ও মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির।

বিজ্ঞাপন

বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছোট ভাই মো.শাকিরুল ইসলাম শিশির। এসময় সোহেলের বাবা আব্দুল বারেক, মা ফিরোজা বেগম, স্ত্রী নিগার সুলতানা, বন্ধু ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন ছিলেন।

গণপিটুনির নামে খুন: বাবা-ছেলেসহ গ্রেফতার ৪

শিশির বলেন, ‘আমার ভাই হত্যার তিনমাস অতিবাহিত হয়েছে। তিনমাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এজাহারভুক্ত ১৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। হাইকোর্ট চারজন আসামিকে ইতোমধ্যে জামিন দিয়েছেন। জামিনপ্রাপ্তরা এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা ইতোমধ্যে নানাভাবে আমাকে এবং আমাদের পরিবারকে হুমকিধামকি দিচ্ছে। আমার পরিবারের লোকজন আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।’

মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগর এবং দ্বিতীয় আসামি জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান গণি জামিন পাওয়ায় পরিবারটির হতাশার কথাও জানান শিশির।

মহিউদ্দিন সোহেলের ভাই বলেন, ‘আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার ভাই সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ ছিলেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই পরিকল্পিত খুনের স্বীকার হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

এসময় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারন করা মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যা করার দৃশ্য সাংবাদিকদের দেখানো হয়।

গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

‘হাতজোড় করে বলছি, আমার ভাই চাঁদাবাজ না’

তবে পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়ে তিনি কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের রোষানলে পড়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

গণপিটুনি মহিউদ্দিন সোহেল মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির