ঢাকার ২২ রুটে চলবে ছয় রঙের, ৬ কোম্পানির বাস: সাঈদ খোকন
১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৪৭
ঢাকা: রাজধানীর ২২টি রুটে ছয়টি কোম্পানির আওতায় ৬ রঙের বাস চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ২০২০ সালে মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে এটি বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ এর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মেয়র।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, রাজধানীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে ২২টি রুটে বাস চলাচল কার্যক্রম শুরু করতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফিরবে। আর এটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছেন। তাই অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে, আমাদের এ সফলতা কিংবা পরিবহনের শৃঙ্খলা কার্যক্রম মুজিব বর্ষের মধ্যে বাস্তবায়ণ করে জনগণকে উপহার দেব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘গোলাপী, কমলা, বেগুনি, মেরুন, নীল ও সবুজ ছয়টি রঙের বাসগুলো পরিচালিত হবে ছয়টি কোম্পানি দ্বারা। নির্দিষ্ট রংয়ের বাস চলবে নির্দিষ্ট রুটে। এতে বিশৃঙ্খলা হবে না।’ এছাড়া গুলিস্তান থেকে সদরঘাট হয়ে যাত্রবাড়ী পর্যন্ত চক্রাকার বাস চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে বলেও জানান মেয়র।
আসন্ন রজমান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, এবারের রজমানে যানজট থাকবে না। প্রতিবছর রজমান মাসে যানজট থাকে অসহনীয় পর্যায়ে। তাই এবারের রমজানে যাতে সে পরিস্থিতির শিকার আবারও হতে না হয় সেজন্য কমিটি কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ণের জন্য কমিটি কাজ করবে। ফলে আশা করা যাচ্ছে যে রজমানে যানজট থাকবে না।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘এবার জলাবদ্ধতা হলেও তা হবে আগের চেয়ে অনেক কম। তবুও সে কমটুকুও আমরা নিরসনে কাজ করছি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক সচিব আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার সচিব শফিকুল ইসলাম, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পরিবহণ সমিতির নেতৃবৃন্দ, ডিটিসিএ নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমানসহ অনকে।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন