‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে প্রয়োজন রফতানির প্রসার’
১০ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৫১
অর্থনীতির মানচিত্রে দ্রুত বেড়ে উঠছে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে শতকরা ৭ ভাগ হারে। পরবর্তী দুবছর অর্থনীতির এই বৃদ্ধি বজায় থাকবে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ স্কেফার বলেন, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ার রফতানি প্রয়োজনের তুলনায় কমেছে। তবু ওই অঞ্চলটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। তাই দীর্ঘমেয়াদে দেশগুলো প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সংশয় রয়েছে।
সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাসের সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির ধারা শক্তিশালী হলেও তার পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা। এর ফলে আমদানির ধারার বিপরীতে যোজন যোজন পিছিয়ে রফতানি খাত। ফলে আমদানি-রফতানি ব্যবধান বেড়েছে। কিছু কিছু দেশে মুদ্রার মানও অবনমনের শিকার হয়েছে।
স্কেফার আরও বলেন, এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে আরও আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে হবে। তৈরি করতে হবে আরও চাকরির সুযোগ। এছাড়া জীবনমানের উন্নয়ন ও স্বচ্ছলতায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্কেফার জানান, রফাতানির গুরুত্ব অনুধাবন করে নীতি নির্ধারকদের সংশোধিত কাঠামো তরি করতে হবে। বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি ও নাগরিকদের দক্ষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বোচ্চ শতকরা ৭.৫ ভাগ, বাংলাদেশের ৭.৩, নেপাল ৬, মালদ্বীপ ৫.৭, ভুটান ৫.৪, শ্রীলংকা ৩.৫, পাকিস্তান ৩.৪, আফগানিস্তানের ২.৫।
সারাবাংলা/এনএইচ