ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ৮ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান
১১ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৩১
ঢাকা: দেশের আটটি সিটি করপোরেশন অফিসে একযোগে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ, নবায়ন, জন্ম নিবন্ধন সনদসহ বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়।
বুধবার ( ১০ এপ্রিল ) বিকেলে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুদকের হটলাইন (১০৬)-এ ট্রেড লাইসেন্সে সেবা প্রদানে হয়রানির অভিযোগ আসে। এরপর কমিশন উক্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে বুধবার একযোগে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, রংপুর সিটি করপোরেশনে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অভিযানকালে দেখা যায় রাজস্ব বিভাগের কর অঞ্চল-১ এর অফিস সহায়ক মোহাম্মদ আলী গ্রাহকের নিকট ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি ৪৫০০ টাকার স্থলে ১৫,০০০ টাকা দাবি করে। এসময় দুদক টিম তাকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করে। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করছে। এছাড়াও অভিযানকালে আগত সেবা প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের সাথে বহিরাগত একটি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা নগর ভবনের পেছনের গেট এলাকার কয়েকটি ফটোকপির দোকানকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় দালাল নির্মূলে দুদক টিমের পক্ষ হতে কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ গিয়ে দেখা যায়, অফিসের মধ্যে বহিরাগত কিছু লোক চেয়ার টেবিল নিয়ে অফিস করছে। এরা কেউই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। এ ব্যাপারে রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি উক্ত ঘটনার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং ব্যাপারটি তার জানা নেই বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দুদক টিম তাকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা প্রদান করে একটি রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন।
দুদকের এই কর্মকর্তা আরও জানান, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে অভিযানকালে দেখা যায় ট্রেড লাইসেন্সের ফি বাবদ গৃহীত অর্থের কোন রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা সংগৃহীত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কোন রেকর্ড টিমকে তাৎক্ষণিক দেখাতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন অভিযানকালে বেশ কিছু অসংগতি দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে ধরা পড়ে।
সারাবাংলা/এসজে/এসবি