নকল সিগারেটের ‘আসল কারখানা’, তামাক-মেশিন জব্দ
১১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:৪৪ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:৫০
ঢাকা: টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় একটি নকল সিগারেট কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা পশ্চিম কর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ‘মেসার্স শাকিল অটো রাইস মিল’ নামের এ কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ তামাক ভর্তি সিগারেটের ফিল্টার ও মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেটের কমিশনার ড. মইনুল খান।
তিনি বলেন, ‘কারখানাটির বাইরে অটো রাইস মিলের সাইনবোর্ড টাঙানো ছিল। কিন্তু ভেতরে সিগারেট উৎপাদনের মেশিনারি পাওয়া যায়। অভিযানকালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর’ ‘গোল্ড লিফ’ ব্রান্ডের প্যাকেট পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই করে দেখা যায় এসব সিগারেট নকল। এ ছাড়া সেখানে বিপুল পরিমাণ ফিল্টার উদ্ধার করা হয়।
মইনুল ইসলাম খান বলেন, ‘অভিযানে তিন টন সিগারেটের তামাক জব্দ করা হয়েছে। এসব তামাক প্রক্রিয়াজাতকৃত এবং সিগারেটে ব্যবহারের উপযোগী। এ ছাড়া কারখানায় স্থাপিত উন্নতমানের দুই সেট মেশিনও জব্দ করা হয়েছে।’
অভিযানে ২০ সদস্য বিশিষ্ট ভ্যাট কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন উপকমিশনার আবদুস সাদেক। টাঙ্গাইল জেলার র্যাবের একটি ফোর্স সহায়তা করেছে।
এই কর কর্মকর্তা বলেন, ‘এ অভিযানের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি এক বছরের অধিক সময় ধরে এই অবৈধভাবে নকল সিগারেট প্রস্তুত করে আসছিল। এসব সিগারেটের মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ব্র্যান্ডই বেশি। এ কারখানার জন্য কোনো ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া হয়নি। ভ্যাটের নিবন্ধন ব্যতিত এর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যা অবৈধ। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা নকল সিগারেট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে ক্রেতার স্বাস্থ্যঝুঁকিও সৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় স্থাপিত উন্নতমানের মেশিন দিয়ে দৈনিক প্রায় ২০ লাখ শলাকা সিগারেট প্রস্তুত করা সম্ভব। সে হিসেবে এ ধরনের একটি গোপন প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ স্তরের সিগারেট উৎপাদনের ভিত্তিতে মাসে গড়ে প্রায় ৫১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি হতে পারে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও অনুসন্ধানের পর অন্যান্য আইনেও মামলা করা হবে।’
সারাবাংলা/এসজে/এমএইচ