বৈশাখের সাজে সাজছে রমনা
১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫৯ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:০৭
ঢাকা: আর মাত্র দুইদিন পরই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে প্রস্তুতি প্রায় শেষ দিকে। প্রস্তুত রমনার বটমূলও। আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকেই শুরু হবে বাংলা নববর্ষ বরণ করে নেওয়ার সব আয়োজন। সূর্যোদয়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা একসঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে উঠবেন ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো।’
আয়োজকরা জানান, দিনের শুরুতে ছায়ানটের আয়োজনে রমনার বটমূলে শুরু হবে বর্ষবরণ। এবারের ভাবনা- ‘সমপ্রীতি ও স্বদেশ’। এখানে গান গাইবেন অতিথি শিল্পী ও ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিল্পীরা।
জানা গেছে, ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা। এবারও ছায়ানটের শিল্পীরা পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রমনার বটমূলে সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানাবেন। যদিও স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট নয়, অশ্বত্থ গাছ।
এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন। নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। রমনা পার্কটিকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার কাজ চলছে। পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাবের পৃথক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হচ্ছে। রমনা বটমুলে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে নিরাপত্তার জন্য সকল আয়োজন শেষ করা হবে বলে কর্তব্যরত পুলিশ জানায়।
মৎস্য ভবনের গেইট দিয়ে দর্শনার্থীরা সারিবদ্ধভাবে রমনা পার্কের ভেতরে ঢুকবে। গেইটে থাকবে আর্চওয়ে ও দেহ তল্লাশি করার ডিটেক্টর মেশিন। পুলিশের সদস্যরা মিষ্টি, গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করবে দর্শনার্থীদের।
বর্ষবরণ উপলক্ষে রমনা পার্ক সাজানো হচ্ছে রং আর বেলুন দিয়ে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রমনা পার্কে ঢুকতেই চোখে পারে চারপাশের দেয়ালে রঙ করার কার্যক্রম। বাম পাশ দিয়ে রমনা বটমূলের দিকে এগোলে চোখে পড়ে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রম।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, পুরো রমনা পার্ক নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশে লেকের ধারে থাকছে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ব্যবস্থা। ওখানে থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশের তৎপরতা। রমনা পার্কের লেকটিতে দিনভর থাকবে নৌ পুলিশের একটি দল। তবে দর্শনার্থীদের জন্য লেকে নৌকা ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়নি। এ বিষয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেননি।
আয়োজকরা জানান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক অস্থায়ী ডাস্টবিন ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা এবং ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখবে। এছাড়া লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টারও খোলা হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে/আপ-এমও