Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সবার জন্য সম্মানজনক কাজ নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ সরকার’


১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২৪ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সমতা ও সামগ্রিকতার মুখ্য নিয়ামক হিসেবে শেখ হাসিনার সরকার সবার জন্য সম্মানজনক কাজ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পথে। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টিতে সরকার সবার জন্য সম্মানজনক কাজের ব্যবস্থা করছে। এর জন্য সরকার বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়াসহ উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে। এতে করে তরুণদের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদর দফতরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘কাজের ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের শ্রম আইনের মূলনীতি তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত এবং সামাজিক ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা আমাদের জাতীয় শ্রম নীতিতে প্রতিভাত হয়েছে। বর্তমান সরকারও বিশেষ করে নারী, প্রতিবন্ধী, অরক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের আরও বেশি সুযোগ তৈরিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একশ নতুন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি সরকার এসএমই খাতকেও উৎসাহিত করছে যেন বিশেষ করে নারী ও তরুণদের জন্য সম্মানজনক কাজের সুযোগ তৈরি হয়।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো দুর্বল অর্থনীতির দেশ এবং যেসব দেশে কাঠামোগত রূপান্তর চলছে সেসব দেশগুলোর কাজের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কিভাবে প্রযুক্তিকে উন্নয়নের মূলশক্তি হিসেবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর সরকার, মালিক, ট্রেড ইউনিয়ন ও নেতৃত্বে থাকা কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আইএলও আলোচনাসাপেক্ষে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করতে পারে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দা এস্পিনোসা গার্সেজ আইএলও’র শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষায়িত এই সেশন আহ্বান করেন। বিশেষায়িত এই সেশনে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বক্তব্য রাখেন। সেশনে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন ও মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আইএলও’র শতবর্ষ উপলক্ষে জাতিসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল, তা ১১ এপ্রিল শেষ হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

আইএলও আইএলও’র একশ বছর জাতিসংঘ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর