Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈশাখী আয়োজনে মাতবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী


১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০১

ঢাকা: নিজের শিক্ষাজীবন কাটিয়েছে বাংলাদেশে, সময়ের হিসাবে প্রায় ১০ বছর। সেই সুবাদে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির অনেককিছুই তার চেনাজানা। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের সঙ্গেও পরিচিত তখন থেকেই। তবে শিক্ষাজীবন শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার পর অনেক জল গড়িয়েছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়ালেখা করলেও এখন রাজনীতিবিদই কেবল নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাজীবনের সেই পহেলা বৈশাখ পালনের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের স্বাদও নিতে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

যার কথা বলছি, তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে স্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের নিয়ে অবতরণ করেছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

আরও পড়ুন- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায়

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহেই জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন শোতে শেরিং। ওই সময়ই জানা যায়, পহেলা বৈশাখের উৎসবেও অংশ নেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, মূলত পহেলা বৈশাখের আয়োজনে অংশ নিতেই তিনি রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহকে বেছে নিয়েছেন। এর ফলে তিনিই প্রথম কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পহেলা বৈশাখ উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছেন। যে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর সিদ্ধান্ত হয় লোতে শেরিংকে।

জানা গেছে, ডা. লোতে শেরিং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পরিচালনাধীন ‘সুরের ধারা’র আয়োজনে ‘লিভার আয়ুশ হাজারও কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২৬’ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত থাকবেন। তার নতুন বঙ্গাব্দকে বরণের জন্য তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও থাকবে উপহার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বৈশাখের উপহার হিসেবে শেরিংয়ের জন্য সিল্কের পাঞ্জাবি এবং তার স্ত্রীর জন্য থাকবে বেনারসি শাড়ি।

এর আগে, গত ১৯ মার্চ বাংলাদেশ-ভূটান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে লোতে শেরিংয়ের বাংলাদেশ সফরের তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ও ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব সোনেম সং।

বিজ্ঞাপন

এসময় ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, লোতে শেরিংয়ের কাছে বাংলাদেশ তার নিজের দেশের মতোই। এই দেশের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত। কেননা, তিনি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনারেল সার্জারিতে এফসিপিএস-ও করেন। পরে দেশে ফিরে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে। ২০১৩ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতির মাঠে নামেন। তিনি বাংলাদেশে ১০ বছর কাটিয়েছেন। তাই এই দেশটি প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিংয়ের কাছে খুবই পরিচিত।

আরও পড়ুন- শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে বাঙালি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে কাছ থেকে দেখেছেন শেরিং। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের স্মৃতিও তার রয়েছে। তবে এবারে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অভিজ্ঞতা নিশ্চয় ভিন্নতর হবে তার।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। সেই সুবাদে স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, লোতে শেরিং বাংলাদেশে পড়ালেখা করলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবার প্রথম বাংলাদেশে আসছেন। আবার একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম কোনো সরকারপ্রধান বাংলাদেশ সফরে এলেন।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর