এখন কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায়ও কিছু লিখতে পারে না: মির্জা ফখরুল
১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৪৯
ঠাকুরগাঁও: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি বড় রকমের সমস্যা তৈরি হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ, প্রশাসন, মিডিয়াসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব ক্ষেত্রে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কিছু লিখতে পারে না। স্ট্যাটাস দিতে পারে না। দিলে গ্রেফতার করা হয়।’
দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘সাংবিধানিক অধিকার ও ভোটাধিকার থেকে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে উপজেলা নির্বাচনেও। জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশনের প্রতি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও শহরে নিজ বাসবভনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে এখনপর্যন্ত কোনো কথা হয়নি। ‘
নুসরাত হত্যার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি দুঃখজনক। মানুষ এর প্রতিবাদে নেমেছে। এসেছে ইনসাফের জন্য, ন্যায়ের জন্য প্রতিবাদ করছেন।’
বিজিবির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘এটাই সব চেয়ে বড় সংকট বাংলাদেশে। যারা নির্যাতিত হলো, প্রাণ দিলো, যাদের হত্যা করা হলো, তাদের মামলা যখন আদালত পর্যন্ত খারিজ করে দেন, তখন বাংলাদেশে বিচারের স্বাধীনতাটা কোথায়? এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই। বিচার পাওয়া যায় না। মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। যারা সেখানে মারা গিয়েছিল তারা তো বিএনপি করে না, সাধারণ মানুষ। ‘
ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা চলছে। নির্বাচনের পরে দল একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, নেতাকর্মীরা হাজতে আছে। ত্রাস, ভীতি কাছ করছে দেশের সঙ্গে সঙ্গে মহাজোটের মধ্যে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সুযোগ কম।’
এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমএনএইচ