অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সচল হতে পারে সুইডেনের ধর্ষণ মামলা
১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৫
বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের (৪৭) বিরুদ্ধে করা দুই নারীর যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ মামলা আবারও সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মামলাটি সচল করার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। ওই মামলার আইনজীবীও একই কথা জানিয়েছেন। বিবিসি।
অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস আলোচনায় আসে ২০১০ সালে। তখন মার্কিন প্রশাসনের গোপন তারবার্তা এবং ইরাক ও আফগান যুদ্ধের স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করে সাড়া ফেলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
https://www.youtube.com/watch?v=8oqJiNzJQ_E
সে বছরই দুই সুইডিশ নারীকে যৌন হয়রানির (সম্মতি কিন্তু অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের) অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ডিসেম্বরে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয় লন্ডনে এবং জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০১১ সালে অ্যাসাঞ্জ আপিল করেছিলেন যাতে তাকে সুইডেনের কাছে প্রত্যর্পণ করা না হয়, তবে আদালত তা খারিজ করে দেন।
তাই সুইডেনে গ্রেফতার এড়াতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ২০১২ সালে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। সে থেকেই লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে শরণার্থীর আশ্রয়ে থাকছেন তিনি। প্রায় সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে শরণার্থীর আশ্রয়ে থাকায় সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত হয়ে যায়। সুইডেনের আইনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী নির্যাতনের মামলার তদন্ত না হলে সেগুলো স্থগিত হয়ে যায়। তবে মামলাটি পুরোপুরি বাতিল হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় রয়েছে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
তবে অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ, গোপন খবর ফাঁস করেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রোধের শিকার হয়েছেন তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান। তথ্য ফাঁসের অভাবে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ। অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, অপরাধী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে তাকে। এ বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও।
শরণার্থী হিসেবে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ইকুয়েডরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো অ্যাসাঞ্জের শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেন। তবে কি কি ক্ষেত্রে অ্যাসাঞ্জ নিয়ম ভেঙেছেন তা স্পষ্ট করেননি ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট। গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে জোর করে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। অ্যসাঞ্জ জামিন নিয়ম না মেনে চলায় তার এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, রয়েছে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি।
সারাবাংলা/এনএইচ