বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে চবি ক্যাম্পাস
১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৪২৫ শেষে দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন একটি বছর। পুরনো বছরের সব দুঃখ-গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে উদগ্রীব সবাই। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখ।
দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রস্তুতি চলছে ১৪২৫-কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর ১৪২৬-কে বরণ করে নেওয়ার। চবিতে এবারের পহেলা বৈশাখে ‘নন্দিত স্বদেশ, নন্দিত বৈশাখ’-এই স্লোগানে বরণ করা হবে নতুন বছরকে। বর্ষবরণ সফল করতে বর্ণাঢ্য র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলাসহ দিনব্যাপী নানারকম অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
র্যালিটি সকাল সাড়ে আটটায় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, জয় বাংলা ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর হল মাঠে শেষ হবে। র্যালি শেষে সকাল ৯টা ২০ থেকে ৯টা ৪০ পর্যন্ত চলবে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। আলোচনা সভা শেষ অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা সমিতি, সঙ্গীত বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মচারী-কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়াও রম্য বিতর্ক, বাউল শিল্পী চিশতি বাউল ও তার দল, ব্যান্ডদল মাকসুদ ও ঢাকা (পুরনো ফিডব্যাক)-এর পরিবেশনা থাকবে।
এছাড়া অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে হাডুডু খেলা, লাটি খেলা, উন্মুক্ত মঞ্চে নাটক, চকসু চত্ত্বরে বউচি খেলা ও জারুলতলায় সারা দিনব্যাপী পুতুল নাচ।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে বাঙালির শতবর্ষের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করবে। এবারের র্যালিতে মূল অনুষঙ্গ থাকছে মাছ ও মাছরাঙা। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের দিনে মুখোশ ও ভুভুজেলা নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তার রক্ষার্থে মোতায়েন করা হবে পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি।একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বহিরাগতদের বাইক ও যানবাহন।
সারাবাংলা/সিসি/এমআই