তেঁতুল তত্ত্বের কারণেই নুসরাত হত্যাকাণ্ড: ইনু
১৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:১৬
ঢাকা: তেঁতুল তত্ত্বের লোকেরাই ফেনীর মাদরাসার ছাত্রী নুসরাতকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ড আবারো প্রমাণ করল ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের জন্য আসলে তেঁতুলতত্ত্ব দায়ী।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অনলাইন সাংবাদিকতা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আন্দোলন ৭১ ডটকম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, তেঁতুল তত্ত্বের মালিকরা একাত্তরে নারীর গায়ে হাত দিয়েছিল। এই তেঁতুল তত্ত্বের লোকেরাই আজকে নারীর গায়ে হাত দিয়েছে। নুসরাতকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের আগের চ্যালেঞ্জ ছিল এইসব ধর্ম ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সৈরাচারের দালালেরা। তাদের অস্ত্র ছিল মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, হলুদ সাংবাদিকতা। সুতরাং এই মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি ও হলুদ সাংবাদিকতা থেকে দেশকে রক্ষা করাই এখন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ।
গণমাধ্যমের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তেঁতুল তত্ত্বের সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা করা। ডিজিটাল সমাজের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করা। ডিজিটাল সমাজে থাকতে হলে ডিজিটাল সমাজের নিরাপত্তা প্রদান করা।
অনলাইন এবং আইপিটিভিকে প্রাতিষ্ঠানিক আওতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা করার পর অনেকেই সমালোচনা করেছেন, কিন্তু এটা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হলে তখন কেউ সাড়া দেয়নি। এটা দুঃখজনক।
তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠায় তথ্য কমিশন গঠন শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় অর্জন উল্লেখ করে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োগ করা নিয়েও গণমাধ্যমের কোনো মাথা ব্যথা নেই। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার হলো, প্রত্যেকটি উপজেলায় তথ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে কেউ সেই সুযোগটা নেয় না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু করেছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত রাখতে। এই যাত্রায় নিত্য সঙ্গী হিসেবে গণমাধ্যমকে শকিক করেছে। সেই জন্য তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, সারাবাংলা.নেটের নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান, সাবেক হুইপ, অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুস শহীদ, সাংবাদিক রাহুল রাহা, প্রথম আলো অনলাইনের ড. কাবিল খান, এবিসিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি