রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি: ইউনিসেফ
২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:৪৭
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এখনো রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি। এমন পরিবেশে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেওয়া মানে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ইউনেসেফের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফরসাইথ কক্সবাজারে দুইদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি অভিযাত হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন।
জাস্টিন ফরসাইথ বলেন, ‘প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই শিশু। যাদের সামনেই তাদের বাবা-মা এবং স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে। এই শিশুগুলো এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া রাখাইন অঞ্চলে এখনো নির্যাতন চলছে। এমন পরিবেশে শিশু কেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কোনো সদস্যকেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গা সদস্যই তাদের বসত-ভিটায় ফিরতে চায়। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। নিরাপত্তা এবং নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাখাইন অঞ্চল এখনো অনিরাপদ। সেখানে এখনো জাতিসংঘসহ অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রবেশের অনুমতি নাই। তাই জাতিসংঘের উচিত নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া।’
ইউনেসেফের ডেপুটি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘গত বছর আগস্টের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় পৌনে চার লাখের বেশি শিশু। যারা এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। কক্সবাজারের জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা শিবিরে হাম ও ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সামনেই গরম কাল। এই সময়ে কলেরা, শিশু পাচারসহ একাধিক ঝুঁকি রয়েছে।’
জাস্টিন ফরসাইথ বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি শিশু রাখাইন থেকে অভিভাবকহীন অবস্থায় এসেছে। এমন কি তাদের কোনো স্বজনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা ৫০ হাজারের বেশি শিশুর জরুরি চিকিৎসা ও পুষ্টি সহায়তা দরকার। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা অনেক শিশুর মনোচিকিৎসা ও কাউন্সেলিং দরকার।’
সারাবাংলা/জেআইএল/এমএস/আইজেকে