বিরোধী দলীয় প্রার্থীর অন্তর্বাস নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রার্থী আজম খান। অভিযোগ উঠেছে, ওই প্রদেশের রামপুরের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নারী প্রার্থী জয়া প্রদাকে ইঙ্গিত করে তিনি মন্তব্যটি করেছেন। এর জেরে মামলাও হয়েছে তার নামে। যদিও আজম খান বলছেন, কাউকে অপমান করে কিছু বলেননি তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজম খান বলছেন, তিনি তো ‘খাকি’ অন্তর্বাস পরেন। বক্তব্যে কারও নাম উল্লেখ না করলেও স্থানীয় বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, জয়া প্রদার উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন আজম। আর এতে ইঙ্গিত করা হয়েছে ভারতের উগ্র ডানপন্থী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রতি। ক্ষমতাসীন বিজেপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে স্বীকৃত আরএসএস সদস্যরাই মূলত খাকি প্যান্ট পরে থাকেন। ‘খাকি অন্তর্বাসে’র প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আজম খান মূলত জয়া প্রদার সঙ্গে আরএসএসের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতই করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের।
এই অভিযোগে মামলাও করা হয়েছে আজম খানের বিরুদ্ধে। তবে আজম খান জানিয়েছেন, মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি নির্বাচনে লড়বেনই না। তিনি বলেন, আমাকে দোষী প্রমাণ করতে পারলে ভোটেই লড়ব না। আমি কারও নাম নিইনি, কাউকে অপমান করিনি। আমি রামুপুরের ৯ বারের বিধায়ক ছিলাম, মন্ত্রীও ছিলাম। আমি জানি, কী বলতে হয়।
আজম খানের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন জয়া প্রদাও। তিনি বলেন, আমি একজন নারী। তিনি যা বলেছেন, আমার পক্ষে তা পুনরাবৃত্তি করা সম্ভব নয়। আমি জানি না, আমি তার প্রতি কী এমন অনাচার করেছি যে তিনি আমার নামে এসব বলছেন।
আজম খানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে কোনো সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
সারাবাংলা/আরএ