Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এপ্রিলের শেষে ফিরবেন কাদের, হাঁটাচলা করছেন নিয়মিত


১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:২৮

ঢাকা: সিংগাপুরে ভাড়া বাসার আশেপাশে, কখনো পার্কের সবুজে নিয়মিত হাঁটাচলা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এপ্রিলের শেষদিকে ‍তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এর আগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডাক্তাররা আগে জানিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের মধ্য এপ্রিলে দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সে হিসেবে এখন তার দেশে আসার কথা। তবে এ সপ্তাহে নয়, পিছিয়েছে তারিখ। এছাড়া মাস শেষ হলে যেকোন দিন তিনি ফিরতে পারেন—এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সেখানে থাকা মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের এখন প্রতিদিন একটু আধটু হাঁটছেন। আশেপাশে থাকা ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করছেন। আর প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। সে হিসেবে ভোরের আলো ফুটবার সঙ্গে সঙ্গে তার দিন শুরু হয় উল্লেখ করে ঘনিষ্ঠ ওই সূত্র আরও জানান, দেশে ফেরার জন্য তার অপেক্ষা থাকে প্রতিদিন। তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকছেন তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের। এছাড়া ব্যাক্তিগত তিন থেকে চার জন কর্মকর্তা তাকে দেখেশুনে রাখছেন।

গত ২০ মাচ তার বাইপাস সার্জারি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। এরপর আরও এক সপ্তাহ ছিলেন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র। এরপর কেবিনে কাটান আরও সপ্তাহখানেক। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। দেশ থেকে যাওয়া একজন বাবুর্চি তাকে রান্নাবান্না করে খাওয়াচ্ছেন।

কাদেরের চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা এখন বলা যায় পুরোপুরি ভালো। তবে দেশে গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করা বা সবাই দেখতে আসার যে ধকল সেটি সমালানো কঠিন হতে পারে। এছাড়া আবারও চেকআপের জন্য আসতে হতে পারে। এজন্য একটু দেরি করেই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে যাবেন ওবায়দুল কাদের। এমনও হতে পারে যে এ মাসের পুরোটা সময় তিনি সিঙ্গাপুরেই থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৩ মার্চ ভোররাতে ঢাকায় নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। তাকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ডেকে পাঠানোয় পরের দিন ঢাকায় উড়ে আসেন ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠী। তারই পরামর্শে ও অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ৪ মার্চ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

সে রাতেই একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু করেন মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। সার্জারি করবেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। ডা. ফিলিপ কোহে এই চিকিৎসা বোর্ডের নেতৃত্বে ছিলেন। এখনো ওই চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত যাওয়া আসা করছেন ওবায়দুল কাদের।

সারাবাংলা/এসএ/এমআই

ওবায়দুল কাদের

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর