Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভবন ভাঙায় আপত্তি নেই বিজিএমইএ’র


১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৭

ঢাকা: হাতিরঝিলের তীরে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভবনটি ভেঙে ফেলায় প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হয়েছে। এর আগে নিজেদের কার্যক্রম এই ভবন থেকে সরিয়ে নিলেও ভবনটি রেখে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান ছিল বিজিএমএই নেতাদের। তবে এখন তারা ভবনটি ভাঙার প্রক্রিয়ায় কোনো আপত্তি করবেন না বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে রাজধানী উন্নয়ক কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউর রহমান জানিয়েছেন, ভবনটিতে এখনও থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের দুই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের শেষ হলে তারা ভবন ভাঙতে শুরু করবেন। এরই মধ্যে ভবন এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছি। উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আমরা কাজ স্থানান্তর করেছি। ফলে ভবন ভাঙার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রশ্ন নেই।

একই মত বিজিএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছিরেরও। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আদালতে আমরা মুচলেকা দিয়েছি। আমরা সরেও গেছি। তাই ভবন ভাঙা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

আরও পড়ুন- অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু

এর আগে অবশ্য ভবন থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিলেও ভবনটি রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিল বিজিএমইএ। বিজিএমইএ’র একটি সূত্র এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে জানিয়েছিল, ভবনটিকে পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে হাসপাতাল বা অন্য কোনো সেবামূলক সংস্থা গড়ে তুলতে চান তারা। তাছাড়া ভবন ভাঙতে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হবে। এত ব্যয়ে একটি ভবন ভেঙে ফেলার তুলনায় বিজিএমইএ সেটিকে ইতিবাচক কোনো উদ্যোগে ব্যবহারের পক্ষে বলে জানায় ওই সূত্র। এর জন্য প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হওয়ার কথাও জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে ভবনটি ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু পর ওই সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান না, বিজিএমইএ’র ভবনটি থাকুক। তাই আগের সেই অবস্থান থেকে বিজিএমইএ সরে এসেছে।

রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে ওঠা বিজিএমইএ’র এই ভবনটি ভাঙা নিয়ে আলোচনা শুরু প্রায় ৯ বছর আগে। ২০১০ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ভবনটি নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে ভবনটি কেন ভাঙা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ভবনটি ভেঙে ফেলার রায় দেন।

এরপর আপিল ও রিভিউ খারিজে ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে দফায় দফায় সময় প্রার্থনা শুরু করে বিজিএমইএ। সর্বশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ’কে এক বছরের সময় দেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই সময় শেষ হওয়ায় এবারে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হলো। এর মধ্যে অবশ্য উত্তরায় নিজেদের নতুন কমপ্লেক্স তৈরি করেছে বিজিএমইএ। ১৩ তলা ভবনটির ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেখানেই নিজেদের কার্যক্রম স্থানান্তর করেছে বিজিএমইএ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজিএমইএ বিজিএমইএ ভবন

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর