Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামের পাহাড়ে বসবাসরতদের সরে যেতে একমাস সময়


১৬ এপ্রিল ২০১৯ ২০:২০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পাহাড়ে বসবাসরত ৮৩৫টি পরিবারকে একমাসের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পাহাড়ে অবৈধভাবে দেওয়া গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভা হয়। সেখানেই এসব নির্দেশনা দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

বিজ্ঞাপন

পাহাড়ে বসতি তৈরি করে ভাড়া দেওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘দুর্যোগে অকালমৃত্যু ঠেকানো প্রশাসনের কাজ। যেসব মাস্তান বা দুর্বৃত্ত পাহাড়ে বসবাস করতে প্ররোচনা দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যতবড় নেতা হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সভায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রামে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন মিলিয়ে ১৭টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। এসব পাহাড়ের মধ্যে ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং বাকি সাতটির মালিক সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।

বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান বলেন, ‘আগামী মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এসব পাহাড় দখলমুক্ত করতে হবে। সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের নিজ উদ্যোগেই পাহাড়কে দখলমুক্ত করতে হবে। এছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়ের অবৈধ বসতি সরিয়ে নিতেও চিঠি দেওয়া হবে।’

পাহাড় দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন সহায়তা করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞাপন

সভায় স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী বলেন, ‘তালিকা অনুযায়ী ১৭টি পাহাড়ের যারা মালিক, তাদেরকেই অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় সংস্থার প্রধানকে দায়ী করা হবে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। না হলে সেখানে দুর্যোগ হয়ে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তাহলে ওইসব পাহাড়ের মালিকদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ আইনে মামলা করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

পরিবেশ অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সভায় বলেন, ‘বড় বড় শিল্পগ্রুপ পাহাড় কাটছে। শুধু জরিমানা করে তাদের থামানো যাচ্ছে না।

সভায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পদ কর্মকর্তা ইশরাত রেজা, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামসুল আলম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, বিজিবির ডেপুটি রিজিওনাল কমান্ডার কর্নেল আরেফিন বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

চট্টগ্রাম পাহাড় ধস বর্ষা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর