চবি শিক্ষককে দেওয়া নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি দেশের ৪৬ শিক্ষকের
১৬ এপ্রিল ২০১৯ ২২:২৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আর রাজীকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষক। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে চবি প্রশাসনের প্রতি তারা এমন আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আর রাজীর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি তাকে কারণ দর্শানোর যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আর রাজীর এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় চবি কর্তৃপক্ষ।
স্বাক্ষরকারী শিক্ষকেরা বলেন, চবি কর্তৃপক্ষ আর রাজীকে যে নোটিশ দিয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের বিধি-বিধান বহির্ভূত।
চবি অধ্যাদেশের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে, একজন শিক্ষককে অদক্ষতা, অক্ষমতা, অসদাচরণ, কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, রাষ্ট্র বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, টিউশনি বা অন্য কোনো চাকরিতে জড়িত থাকলেই কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া যাবে।
বিবৃতিতে শিক্ষকরা আরও বলেন, অধ্যাদেশে উল্লিখিত কোনো কারণে আর রাজীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়নি। বলা হয়েছে, তার একটি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় জড়িত শিক্ষকদের সুনামহানির অভিযোগ এনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বা তার শিক্ষকদের সুনামহানির অভিযোগে এভাবে একজন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর রাজীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকবৃন্দরা হচ্ছেন: আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতি বিভাগ, জাবি; গীতি আরা নাসরীন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাবি; মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; সামিনা লুৎফা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি; সায়মা আলম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চবি; কামাল চৌধুরী, ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগ, ঢাবি; মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুবি; সুবর্ণা মজুমদার, সায়মা আলম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চবি; জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, বাংলা বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, রাবি; গোলাম হোসেন হাবীব, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, চবি; কামরুল হাসান, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি; নাসির আহমেদ, ইংরেজি বিভাগ, জবি; কাজী মামুন হায়দার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি; তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ইংরেজি বিভাগ, ঢাবি; নেহাল করিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি; পারভীন জলী, ইতিহাস বিভাগ, জাবি; রুশাদ ফরিদী, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাবি; মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাবি; জীবন কৃষ্ণ মোদক, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; সুকান্ত বিশ্বাস, ইংরেজি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; রায়হান রাইন, দর্শন বিভাগ, জাবি; কাজী শেখ ফরিদ, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাকৃবি; খাদিজা মিতু, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চবি; হিয়া ইসলাম, মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগ, ইউল্যাব; আরিফুজ্জামান রাজীব, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; মাহমুদুল সুমন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; মাসুদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাবি; সাঈদ ফেরদৌস, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; নাসরীন খন্দকার, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; আইনুন নাহার, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; শামস আরা খান, ফার্মেসি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; বখতিয়ার আহমেদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, রাবি; সাদাফ নূর, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চবি; দেলোয়ার হোসেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চবি; সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; ফাহিমা আল ফারাবী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাবি; অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ, যবিপ্রবি; ফাহমিদুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাবি; অর্পিতা শামস মিজান, আইন বিভাগ, ঢাবি; আব্দুল্লাহ বাকী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি; সেলিম রেজা নিউটন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি; মো. শফিকুল ইসলাম, ফার্মেসি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি; আল মামুন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাবি ও স্বাধীন সেন, ভূতত্ত্ব বিভাগ, জাবি।
সারাবাংলা/আরএ