Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুইমিং পুলে সংঘর্ষের এক মামলা থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের অব্যাহতি


১৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:০৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: খেলার মাঠে সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রকল্প এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর দায়ের হওয়া দু’টি মামলার একটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতারা। মামলা দু’টিতেই নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনসহ কমপক্ষে ৫০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

দু’টি মামলার একটি পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যে বাধাদানের অভিযোগে এবং আরেকটি বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী চুরির অভিযোগে দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে চুরির মামলায় পুলিশের দেওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত তাদের অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদ এই আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ (বুধবার) মামলার তারিখ নির্ধারিত ছিল। আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন। এর ফলে আসামিরা সবাই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।’

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামের ৭০ হাজার ৩৮০ বর্গফুট জায়গায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইমিং পুল নির্মাণ করা হয় চট্টগ্রামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেএকএস) তত্ত্বাবধানে, যার সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

২০১৭ সালে সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ শুরুর পর এর বিরোধিতা করেছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রয়াত এই নেতার অনুসারী হিসেবে ইমরান আহমেদ ইমু ও নুরুল আজিম রণি’র নেতৃত্বাধীন মহানগর ছাত্রলীগ সুইমিং পুল নির্মাণের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়েছিল। সেসময় ছাত্রলীগের এই কর্মসূচিকে মেয়রবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশ থেকে সুইমিং পুল করার উদ্যোগ বন্ধ করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু এর সপ্তাহখানেক আগে আউটার স্টেডিয়াম টিন দিয়ে ঘিরে প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেয় সিজেএকএস।

এরপর নগর ছাত্রলীগের মহিউদ্দিনের অনুসারী নেতারা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। সেখানে সুইমিং পুলের কাজ বন্ধ করে সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ওই বছরের ১৭ এপ্রিল বিকেলে প্রকল্প এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের পর সেখানে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ১৪ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং বেশি কিছু গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ শটগানের গুলি ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুইমিংপুল প্রকল্প এলাকা থেকে নির্মাণ সামগ্রী চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম স্বপন একটি এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন রতন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাড়ে চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

অব্যাহতি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর