কাফনের কাপড় পরে ‘বিচারহীনতা’র প্রতিবাদ
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৫
দেশে কিছুতেই থামছে না নারী নিপীড়ন। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো স্থানে নিপীড়নকারীরা হামলে পড়ছে নারীর ওপর। প্রতিবাদ আর প্রতিশ্রতিতেও বন্ধ হচ্ছে না ধর্ষণ। সবশেষ ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ওপর যৌন নিপীড়ন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা সব বর্বরতাকে যেন হার মানিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে ভিন্ন রকমের প্রতিবাদ দেখিয়েছে একদল নারী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ জানান ওই নারীরা। শাহবাগের জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে ৬ তরুণী কাফনের কাপড় পরে দাঁড়ান। তাদের সামনে আরও একজন দাঁড়ান। যাতে লেখা ছিল, ‘আমি মানুষ, বিচারহীন রাষ্ট্রে খুন ও ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ পাশেই জ্বলছিল আগরবাতি। একজন মাঝে মাঝে এই কাফনের কাপড় পরা নারীদের ওপর গোলাপজল ছিটিয়ে দিচ্ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, সম্প্রতি রাফি’র ওপর যৌন নিপীড়ন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা সারাদেশে আলোড়ন তুলেছে। এমন হাজার হাজার নুসরাতের ঘটনা ঘটলেও এসব ঘটনার কোনো বিচার হয় না। এত নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটলেও অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে। কিংবা অপরাধী গ্রেফতার হলেও দৃষ্টান্তমূলক কোনো সাজা দিতে দেখা যায় না। একটা অপরাধের বিচার না হলে আরেকটা অপরাধে মানুষ প্রশ্রয় পায়। নারী নিপীড়নের জন্য তারা রাষ্ট্রের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই দোষারোপ করেন।
ভিন্ন রকম এই প্রতিবাদের উদ্যোক্তা শারমিন জাহান অর্পি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই রাষ্ট্রের কাছে যখন বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত, তখন আমাদের মনে হয়েছে যে রাষ্ট্রের কাছে নিপীড়কের বিচার চাওয়ার চেয়ে আমাদের নিজেদেরই বুঝি খুন বা ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।’ তাই তাদের এই প্রতিবাদ বলেও তিনি জানান।
সারাবাংলা/কেকে/ইএইচটি