দূতাবাসের টয়লেটে ক্যামেরা, সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৩
ওয়াশিংটনে অবস্থিত নিউজিল্যান্ডের দূতাবাসের টয়লেটে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দূতাবাসটির সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা আলফ্রেড কিটিং। টয়লেটটি নারী-পুরুষ উভয়ের ব্যবহার উপযোগী। তাকে আগামী ২৫ জুন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
দূতাবাসের টয়লেটে ক্যামেরাটি আবিষ্কৃত হয় ২০১৭ সালে। তখন দূতাবাসটির সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন কিটিং। এর আগে নিউজিল্যান্ডের সামরিক বাহিনী রয়াল নিউজিল্যান্ড নেভি’তে কাজ করতেন তিনি।
ক্যামেরাটির এসডি কার্ডে কিটিংয়ের ডিএনএ পাওয়া গেছে। টয়লেটে ক্যামেরা লুকানোর অপরাধে সর্বোচ্চ ১৮ মাস কারাদণ্ড হত পারে তার। তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ধারণের অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যামেরাটি কয়েক মাস ধরে টয়লেটে ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ তদন্ত করে ক্যামেরার এসডি কার্ডে ২০টি ভিডিও ফাইল পায়। তারা জানায়, ৭০০’র বেশি ভিডিও ফাইল ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্তত ১৯টি ছবিও ছিল কার্ডে।
এদিকে, অপরাধটি যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত হলেও কিটিং নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হওয়ায় তার বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হবে নিউজিল্যান্ডে।
চলতি মাসের শুরুতে অকল্যান্ডের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এ বিষয়ে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
কিটিং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সারাবাংলা/আরএ