Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসি লঞ্চের কেবিনের ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ চায় যাপ


১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১২

ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে যাত্রীবাহী নৌযানের (লঞ্চ) এসি কেবিনের ভাড়ায় আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট মওকুফ চায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাকবাজেট আলোচনা সভায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে সভাপতি মাহবুব উদ্দীন আহমেদ (বীর বিক্রম) এই দাবি করেন।

তিনি দাবি করেন, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১-এর দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী যাত্রীবাহী নৌযান সেবাকে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই নৌযানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেবার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপিত রয়েছে। এই রীতির কারণে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বলেন, এই জটিলতার কারণে প্রায়ই মূসক আদায়কারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে এবং লঞ্চ ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যদিও পৃথিবীর কোথাও নৌযানে ভ্যাট নেই। শুধু তাই নয়, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রিলংকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত নৌযানের কেবিনের ওপর কোনো ভ্যাট নেই।

তিনি আরও বলেন, নৌযান পরিচালনার জন্য প্রধান উপকরণ জ্বালানি তেল, ডকইয়ার্ড, রঙ, প্লেট, অ্যাংগেল, এয়ারকুলারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভ্যাট দিয়েই কেনা হয়। লঞ্চের মালিকরা নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এসি চালান। এতে সরকারের কোনো সহযোগিতা নেই। এটি সেবামূলক ব্যবসা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষ নৌযান ব্যবহার করে। ফলে এখানে ভ্যাট যৌক্তিক নয়।

মাহবুব আরও বলেন, সড়ক পথে এসি ও নন-এসি যানে ভাড়ার তারতম্য রয়েছে। ফলে সেখানে সমস্যা হয় না। কিন্তু নৌযানে সবকিছু বিবেচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। অল্প কয়েকটি নৌযানে দুই থেকে চারটি ভিআইপি কেবিন থাকে, যা সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা প্রশাসনের জন্য রিজার্ভ রাখতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই কেবিনগুলো আর বিক্রি হয় না। আগে অনেক রুটে সরকারি নৌযানের মাধ্যমে যাত্রী সেবা দেওয়া হলেও ক্রমাগত লোকসানের কারণে সেই সেবা সংকুচিত হয়েছে। ফলে বেসরকারি নৌযানে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে নৌযানগুলোরও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট মওকুফ করা না হলে লঞ্চ মালিকরা দিনদিন নিঃস্ব হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবেচনা করব। আমরা কখনো চাইব না কোনো সংস্থা লোকসানের মুখোমুখি হোক। আপনাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। এরপর এসি কেবিনে ভ্যাট থাকবে কি থাকবে না, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

এনবিআর এসি কেবিন এসি কেবিনের ভাড়ায় ভ্যাট প্রাকবাজেট আলোচনা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা ভ্যাট মওকুফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর