ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী শিশু, অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক
১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪১
ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরে ১৩ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় পাঁচ মাস আগে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় তা কাউকে জানাতে পারেনি। সম্প্রতি শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়েছিল শিশুটি। অভিযুক্ত কাজী আবুল কালাম ফারুকের গ্রামের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর থানার বরিশাট গ্রামে। তার বাবা মৃত আব্দুর রশিদ। কল্যাণপুরের পাইকপাড়ার ডি কলোনিতে সিনিয়র নার্স বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ওই বৃদ্ধ। সেখানেই সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুটি ওই বাড়িতেই গত চার বছর ধরে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে আসছিল।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহায়তায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির সারাবাংলাকে জানান, ওই বৃদ্ধ পলাতক। তাকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
শিশুটির মা সারাবাংলাকে জানান, তারা কল্যাণপুর নতুনবাজার এলাকার একটি বস্তিতে থাকেন। চার বছর আগে শিশুটিকে মাসে ৫০০ টাকা বেতনে ওই সিনিয়র নার্সের বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে রাখা হয়। গত নভেম্বর মাসে ওই বাসার বেড়াতে আসে গৃহকর্ত্রীর বড় ভাই কাজী আবুল কালাম। সে সময়ই বাসায় একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে।
শিশুটির পরিবার জানায়, সম্প্রতি শিশুটির শরীরিক পরিবর্তন দেখা গেলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানা যায়, শিশুটি ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এ খবর জানলে গৃহকর্ত্রী শিশুটিকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ওই বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে এ ঘটনা অ্যাকশন এইডের নজরে এলে বুধবার প্রতিষ্ঠানটি মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের ব্যবস্থাসহ মেয়েটির সুচিকিৎসায় প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়।
অ্যাকশন এইডের এলআরপি ৪৯ (রুপা) প্রকল্প পরিচালক আনজুমানারা সারাবাংলাকে বলেন, আমরা মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঘটনাটি জানতে পারি। এরপর মামলা ও মেয়েটির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। শিশুটিকে একটি মিশনের দুঃস্থ নারী ও পরিত্যক্ত শিশু কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির সারাবাংলাকে বলেন, মামলার পর আমরা অভিযুক্ত কাজী আবুল কালাম ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মামলার খবর পেয়ে সে পালিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিয়ে আমরা তার গ্রামে অভিযান চালাচ্ছি। তাকে ধরতে প্রযুক্তিগত সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসএইচ/ইএইচটি/টিআর