টাঙ্গাইলে অপহরণের পর পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১৭
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত আসামির মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের ওই বাসিন্দা আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানি নাগরিক ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে টাঙ্গাইলে আসেন। এরপর থেকেই তার স্বামীর বড় ভাই আবুল হোসেনের ছেলে আল আমীন ওই কিশোরীকে উত্যক্ত করতে থাকে। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়।
এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে সে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দি অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ওসি হাসান আল মামুন জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্তের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
সারাবাংলা/এমএইচ