Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নুসরাত হত্যা: আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন আটক


১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:২৪ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৫৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয় বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুনিরুজ্জামান।

পিবিআই জানিয়েছে, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে রুহুল আমিনের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। একাধিক আসামির জবানবন্দিতে বিষয়টি উঠে এসেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজ এলাকা থেকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে যৌন নিপীড়ন করেন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর অধ্যক্ষের অনুগত ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জনরোষে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগ রুহুল আমিন। পরদিন সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে মাদরাসার অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে কাউন্সিলর মুকছুদ আলমের নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয় তাতেও ইন্ধন দেন রুহুল আমিন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদারাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নুসরাতকে কৌশলে নুসরাত ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

পিবিআই তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয় জেলে বসে রাফিকে হত্যার নির্দেশ দেন মাদরাসার অধ্যক্ষ (বর্তমানে বরখাস্ত) সিরাজ উদদৌলা। ওই নির্দেশের রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফেজ আব্দুল কাদেরের রুমে বসে নুসরাতকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়।

গুরুতর দগ্ধ হওয়ার পাঁচদিন পর গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান।

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো— অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন।

সারাবাংলা/এসএইচ/এনএইচ/একে

নুসরাত হত্যাকাণ্ড রুহুল আমিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর