কয়লার চড়া দাম: আবারও দরপত্রে যাচ্ছে পিডিবি
২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:০০
ঢাকা: বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হলো। চড়া দাম হওয়ায় ৫১২ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটির জন্য পুনরায় ৮ লাখ টন কয়লা আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করতে বিদ্যুৎ বিভাগের সম্মতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সম্প্রতি এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রটির জন্য এক লাখ টন কয়লা আমদানি করতে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করেছিলো পিডিবি। কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালাতে দৈনিক ৫ হাজার ২শ টন কয়লা প্রয়োজন।
পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ এ প্রসঙ্গে সারাবাংলা’কে বলেন, দরপত্রে আমরা যে মূল্য প্রস্তাব পেয়েছি তার দাম বেশি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এরচেয়ে কম দামে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমরা আবারও দরপত্র আহবানের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছি।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে এখন টন প্রতি ৯৫ থেকে ১০০ মার্কিন ডলারে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক কেন্দ্রটির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হলে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নোবেল রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনাল এবং ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড দরপত্র জমা দেয়। বাংলাদেশের পারটেক্স কোল নিমিটেড এই দুটি কোম্পানীর স্থানীয় প্রতিনিধি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এই দুটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে যে দর প্রস্তাব করা হয়েছে তা অনেক বেশি। ভিটলের দেয়া প্রস্তাবে প্রতি টন ২৮১ দশমিক ৫৭ ডলার এবং নোবেল রিসোর্সেস ১৯৬ দশমিক ৪৭ ডলার। দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির মতে, এই কয়লা ক্রয় করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত টন প্রতি খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা জানান, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫১২ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিলো দুই দশমিক ৩৬ বিলিয়ন টাকা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লার চাইতে আমদানি করা কয়লার দাম অনেক বেশি। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে টন প্রতি ১৩০ ডলারে কয়লা সরবরাহ করতো। সেখানে ভিটলের দেয়া প্রথম প্রস্তাবে টন প্রতি ২৮২ দশমিক ৯১ ডলার। এছাড়া, এর সঙ্গে যোগ হবে এফওবি (ফ্রি এন্ড ব্রেড) ১১৮ মার্কিন ডলার, মালবহনের খরচ ৭ ডলার, মালামাল উঠা-নামানো, ইন্সুরেন্স, বন্দর খরচসহ স্থানীয় পরিবহন খরচ ৮৭ দশমিক ৪৭ ডলার। যদিও কোম্পানীটি পরবর্তীতে তাদের সংশোধিত প্রস্তাবে টন প্রতি কয়লার দাম এক দশমিক ৩৪ ডলার কম মূল্য উল্লেখ করে।
সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম