সিভি জমা দিলেই ‘প্রশিক্ষণ শেষে’ মিলবে চাকরি
২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:২০
ঢাকা: বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং খাতের শীর্ষ সম্মেলন বিপিও সামিটে শিক্ষিত তরুণেরা সিভি জমা দিয়ে সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হলেই মিলে যাচ্ছে চাকরি। আবার কম দক্ষদের পাঠানো হচ্ছে প্রশিক্ষণে। তবে, প্রশিক্ষণের সময়েও মিলছে পাঁচ হাজার টাকার বৃত্তি। আর তিন মাসের ওই প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্য বিবেচিত হলেই মিলবে বিপিও খাতে কর্মের সুযোগ। স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) এর আওতায় শিক্ষিত তরুণদের এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।
চলমান বিপিও সামিটের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে দেখা গেছে, চাকরি প্রার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। সাক্ষাৎকার দিতে অনেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
সুরমা হলে দেখা গেছে, তিন সাড়িতে বসে আছেন সাক্ষাৎকার গ্রহীতারা। লাইনে দাঁড়ানো চাকরি প্রার্থীরা ঢুকছেন রুমে। বসে পড়ছেন কোনো একটি টেবিলের সামনে। ঝটপট সাক্ষাৎকার নিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবেচিত হওয়ারা পাচ্ছেন সরাসরি চাকরি। আর কোনো দক্ষতা নেই এমন শিক্ষিত তরুণদের পাঠানো হচ্ছে প্রশিক্ষণে।
সরকারের বাস্তবায়ধীন স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট পোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সোহরাব হোসাইন সাব্বির সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশকে বাধ্যতামূলকভাবে চাকুরি দিতে হবে। অর্থাৎ ১২ হাজারেও বেশি তরুণের এ প্রকল্পের আওতায় কর্মসংস্থান হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার শিক্ষিত তরুণকে চাকুরি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপিও সামিটে রোববার (২১ এপ্রিল) ৫৫৪ জনের সিভি পেয়েছি। এর মধ্যে ৩০ জনকে চাকুরি দেয়া হয়েছে। বাকিদের প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন মাসের প্রশিক্ষণের সময় তারা প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন এবং কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি।
সাব্বির বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আমাদের ২০টি প্রশিক্ষণ সেন্টার রয়েছে। যেখান থেকে সারাবছরই প্রশিক্ষণ নেয়া যাবে। প্রফেশনাল কাস্টমার সার্ভিস, প্রফেশনাল ব্যাকঅফিস সার্ভিস, ডিজিটাল কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স এন্ড একাউন্ট আউটসোর্সিং ও মেডিকেল স্ক্রাইবিং- এই পাঁচটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।
সারাবাংলাকে সাব্বির আরও বলেন, বিপিও খাতে প্রবেশ করে ৬ মাসের স্কিল হলেও তাদের আর ধরে রাখা যায়না। মার্কেটে তাদের ডিমান্ড তৈরি হয়। কারণ কলসেন্টারে কাজ করতে গিয়ে তারা খুবই স্মার্ট হয়ে উঠে। কথা বলায় হয়ে উঠে দারুণ পারদর্শী। কনফিডেন্ট লেভেল বেড়ে যাওয়ায় সব ভাইভা তারা ভালোভাবে ফেস করতে পারে। দেখা যায় অল্প সময়েই তাদের অনেকের ব্যাংকেও চাকরি হয়ে যায়। প্রশিক্ষণ ও চাকরি পেতে যোগ্যতা স্নাতক অথবা চার বছরের ডিপ্লোমা।
সামিটে অংশ নেয়া ৯ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। সেখানে অনেক শিক্ষার্থীকেই সিভি জমা দিতে দেখা গেছে। সেমিনার হলগুলোও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ছিল মুখর।
সামিটের আয়োজন করেছে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে বিপিও সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম