নুসরাত হত্যা: জবানবন্দিতে মনি জানালেন তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা
২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৪৪
ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যা করার মিশনে অংশ নিয়েছিলেন তার সহপাঠী কামরুন নাহার মনি। জবানবন্দিতে সম্পৃক্ত থাকার কথা যেমন তিনি স্বীকার করেছেন তেমনি পুরো ঘটনার বর্ণনাও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দিয়েছেন।
সেই জবানবন্দিতেই জানা গেছে, মনি এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অর্থাৎ গর্ভে সন্তান নিয়েই নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত হন তিনি। আর অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থাতেই তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সাড়ে ৪ টার দিকে কড়া নিরাত্তার মধ্য দিয়ে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে মনিকে হাজির করে করে পিবিআই। প্রায় ৬ ঘণ্টার জবানবন্দি রেকর্ডের পর রাত ১০টার দিকে তাদের জবানবন্দির ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফি হত্যার কিলিং মিশিনে সরাসরি জড়িত ছিলো কামরুন নাহার মনি। নুসরাতের শরীর চেপে ধরেন ও সবার জন্য বোরকার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। উম্মে সুলতানা নুসরাতের পা বেধে চলে যাওয়ার সময় মনি তাকে শম্পা বলে ডাকে। এই শম্পা দেয়া নামটি পপি ও মনির দেওয়া ছদ্মনাম নাম। এই কিলিং মিশনে আর কোনো ছদ্মনাম ব্যবহার হয়নি। মনি আরও জানিয়েছে বর্তমানে সে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।’
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মনি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে জানান মো. ইকবাল। তবে, তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা হয়নি।
জবানবন্দি শেষে মনিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ফলে শুধুমাত্র মায়ের অপরাধের কারণে জন্মের আগেই জেল খাটতে হচ্ছে মনির অনাগত সন্তানকে।
গত ১৫ এপ্রিল কামরুন নাহার মনিকে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ এপ্রিল একই আদালতে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দেন। সেসময় মনিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায় পিবিআই। কিভাবে নুসরাতকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে সেসময় তার বর্ণনা দেন মনি। তার দেওয়া তথ্য মতে পিবিআই বোরকার দোকানও পরিদর্শন করে।
সারাবাংলা/এসএমএন
কামরুন নাহার মনি নুসরাত ফেনীতে দগ্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থী ফেনীর সোনাগাজী