কারাবন্দি কেন্দ্রীয় নেতাদের তালিকা দিলেন রিজভী
২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১৩
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াসহ এই মুহূর্তে দলটির অন্তত ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একজন, বিশেষ সহকারী একজন, দলের যুগ্ম মহাসচিব দু’জন, সাংগঠনিক সম্পাদক একজন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তিন জন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তিন জন। বাকিরা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা। এছাড়া সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার অথবা আটক হয়ে করাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি নেতাদের এই তালিকা তুলে ধরে তাদের নিঃশর্ত মুক্ত চান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী খালেদা জিয়া ছাড়াও এই মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন—বিএনপি চেয়ারপাসনের উদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি, শেখ মোহম্মদ শামীম, হযরত আলী, তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুর উদ্দিন অপু ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দাবি, এই ১৫ জন শীর্ষ নেতা ছাড়াও হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। তাদের সবার নিঃশর্ত মুক্তি চান তিনি।
রিজভী জানান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ। কয়েক দিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে ফের কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হলেও চিকিৎসা না দিয়ে জেলখানায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এটি চরম অমানবিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি অবিলম্বে শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ লুৎফুজ্জামান বাবরকে সুচিকিৎসা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রিজভী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রায় দুইশ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তারপরও মুক্তি পাচ্ছেন না। এরই মধ্যে আপিল বিভাগ ১৪টি মামলার জামিন বাতিল করেছেন এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এজেড/টিআর