গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষায় আইন হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৭
ঢাকা: দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দুটি আইন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল (বুধবার) একটি অধিবেশন শুরু হবে। কিন্তু এ অধিবেশনে আমরা আইন দুটি উপস্থাপন করতে পারব না। আশা করছি, এর পরের অধিবেশনে আইন দুটি উপস্থাপন করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেটিং দিয়ে দেবে। এরপরই আমরা আইন দুটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করব।’
এই বৈঠকে গণমাধ্যম কর্মী আইন ও সম্প্রচার আইন দ্রুত সংসদে পাশের দাবি জানান সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্রের নেতারা। এছাড়া দেশ জুড়ে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাইজেশন করারও দাবি তোলেন তারা। তারা বলেন, দেশের চ্যানেলগুলো বাঁচাতে হলে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপণ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে হবে সরকারকে।
মন্ত্রী এর জবাবে বলেন,দেশে চ্যানেলগুলো অব্যশই আইন মেনে চালাতে হবে। এজন্য অনির্দিষ্টকাল সময় দেয়া হবে না। দেশে আইন ভঙ্গ করে বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এটা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশকদের শোকজ করা হয়েছে। কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। এ বছরের মধ্যে ঢাকা,চট্টগ্রাম ও বিভাগীয় শহরে কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাইজেশন করতে বলা হয়েছে। বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে ডাউনলিঙ্কের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই হবে বলেও জোর দেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের সমর্থনে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি। বিদেশে বিজ্ঞাপন চলে না গেলে গণমাধ্যমে সংকট থাকতো না। সংবাদকর্মীরা সংকটে পড়ত না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও যেন যথেচ্ছভাবে বিজ্ঞাপন না চলে যায় তা নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এনবিআর সাথে এনিয়ে কথা হয়েছে।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অনান্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এইচএ/জেডএফ