‘শ্রীলংকায় বোমা হামলা ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ’
২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৪
খ্রিষ্টান ধর্মের পবিত্র দিন ইস্টার ডে’তে শ্রীলংকার বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলা নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুক হামলার প্রতিশোধ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকার মন্ত্রিপরিষদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
রুয়ান বিজেবর্ধনে নামে ওই প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শ্রীলংকার পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। খবর ফক্স নিউজের।
বিজেবর্ধনে বলেন, উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনগুলো ক্রাইস্টচার্চ হামলার বদলা হিসেবে শ্রীলংকায় হামলা চালিয়েছে।
তবে তিনি তার মন্তব্যের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত মার্চ ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে বন্দুকহামলা চালায় ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক খ্রিষ্টান উগ্রবাদী। হামলায় মৃত্যু হয় ৫০ জনের। মুসলিম ধর্মের পবিত্র উপসনালয় মসজিদে হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে।
অপরদিকে, রোববার (২১ এপ্রিল) ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় চার গির্জা, তিন হোটেল ও এক বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩২১ জন, আহত হন পাঁচ শতাধিক। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীলংকার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়সুন্দর হামলার দশদিন আগে হামলার বিষয়ে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ইস্টার সানডেতে দেশজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করছে কট্টরপন্থি মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত।
হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে
এদিকে, হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সবাই শ্রীলংকান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীরা সবাই শ্রীলংকান হলেও, হামলাগুলোর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
শ্রীলংকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিথা সেনারত্ন বলেন, আমাদের বিশ্বাস, কেবল এই দেশে অবস্থানকারী মানুষের একটি দল এই হামলাগুলো চালায়নি। এর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল। অন্যথা তারা সফল হতে পারতো না।
গ্রেফতার হওয়া ৪০ জনের মধ্যে হামলায় ব্যবহৃত একটি গাড়ির মালিক ও একটি বাড়ির মালিক রয়েছে। ওই বাড়িতে হামলাকারীদের কয়েকজন বাস করতো।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কেউ যদি রাস্তায় কোনো গাড়ি পার্ক করে রেখে যায় তাহলে গাড়ির কাচে মালিকের মোবাইল নম্বর লিখে যেতে হবে।
অন্যদিকে, ডাক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে কোনো মোড়কজাত কোনো পার্সেল গ্রহণ করবে না।
সারাবাংলা/এনএইচ/আরএ