Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেরাতে দেরি হলে উগ্রবাদে জড়াতে পারে রোহিঙ্গারা: সিটিটিসি প্রধান


২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৫৮

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দেরি হলে তারা সামাজিক নানা অপরাধসহ উগ্রবাদে জড়াতে পারে বলে মনে করেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তবে, রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে গোয়েন্দা সদস্যরা কড়া নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘মিট উইথ মনিরুল ইসলাম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থেকে গেলে ভবিষ্যতে তারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা দীর্ঘদিন এ দেশে থাকলে সোশ্যাল ডিজঅর্ডার সহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। এজন্য তাদেরকে নিজ দেশে পাঠাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এবিষয়ে দুএকদিনের মধ্যে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। সব হারানোর কারনে তারা ভবিষ্যতে উগ্রবাদের জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে আমাদের দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রেখেছে।

অনেকেই জঙ্গী সংগঠন আইএস থেকে স্ব স্ব দেশে ফিরতে চাইছেন। বাংলাদেশীরা ফিরতে চাইলে তাদের ফেরত নেয়া হবে কি না অথবা তারা দেশে ঢুকে পড়লে দেশের জন্য অস্বস্তিকর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ থেকে মূলত ২০১৪ সালের শেষ দিকে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি আইএস’এ যোগদান করেছে। আমাদের ধারণা মতে তাদের কেউ ধরা পড়েছে, কেউ নিহত হয়েছে অথবা কেউ এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। তারা যদি এখন দেশে ফিরতে চায় তাহলে তাদেরকে অবশ্যই এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে ফিরতে হবে। এর জন্য তাদের পাসপোর্ট লাগবে। দেশে ফিরতে হলে তাদেরকে নতুন করে পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে। আমরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যখন পাসপোর্ট আবেদন পাচ্ছি সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে পাসপোর্ট দিচ্ছি। তারা ফিরতে চাইলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে নেওয়া হতে পারে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

কারাগারে জঙ্গিবাদ ছড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এটি একটি গ্লোবাল সমস্যা। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে কারাগারে জঙ্গীরা রেডিক্যালাইজড হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারনে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা। তবে, এই দীর্ঘসুত্রিতা কমাতে ২টি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে। তাদের মামলাগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও, কারাগারগুলোতে সব ধরনের সন্ত্রাস বিরোধী আসামিদের মেলামেশার সম্ভাবনা খুব কম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারওয়ার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানসহ ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ ও সিটিটিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

সিটিটিসি প্রধান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর