রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী হিমুর আত্মহত্যা
২৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৫৮
ঢাকা: ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর উদ্ধারকাজ চালানো নওশাদ হাসান হিমু গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নওশাদ হাসান হিমু সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় আবুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি বরিশালের নাজিরপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
হিমুর বন্ধু বন্ধু কামরুস সালাম সংসদ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বেলা তিনটার দিকে হিমুকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ এশা জানাজা শেষে তাকে বাবার কবরের পাশে কবর দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, রাত ১১টার দিকে সে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিমুর আত্মীয়সহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সাভার থানায় খবর দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় রাত দুইটার দিকে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রানা প্লাজার উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসার নওশাদ হাসান হিমু বন্ধুদের কাছে হিমালয় হিমু নামেই পরিচিত ছিলেন। হিমুর একাধিক বন্ধু জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়ার পর থেকেই রানা প্লাজার ভেতরের মৃতদেহ, হ্যাকসো ব্লেড, কাটা হাত-পা আর কেমিকেল মেশানো গন্ধ থেকে হিমু আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। এমনকি পারফিউম, এয়ার ফ্রেশনারের ঘ্রাণও সহ্য করতে পারতেন না তিনি।
সারাবাংলা/জেএ/এমও