মধ্যরাতে বন্ধ হচ্ছে সাড়ে ২০ লাখ সিম
২৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:১৯
ঢাকা: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত থাকা সিম বন্ধ করে দিতে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতি আগে থেকেই নির্দেশনা ছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি)। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি সিম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটি জানায়, আগের ঘোষণা অনুযায়ীই ২৬ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা ছিল।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়াম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহকবান্ধব হবে। এতে এ খাত আরও সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি, এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা নিতে পারবে।’
জানা যায়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিম নিবন্ধন করার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি অনেকেই। এর ফলে একই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ২০ থেকে ২৫টি পর্যন্ত সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বাড়তি এসব সিমের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। এর সবগুলোই বন্ধ হওয়ার কথা ছিল ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতের পর, তথা ২৬ এপ্রিল। তবে বৃহস্পতিবার বিটিআরসির একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানায়, চূড়ান্তভাবে বন্ধ হচ্ছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি সিম।
এর আগে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অধীনে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম বন্ধ করতে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিল বিটিআরসি। অপারেটগুলোও গ্রাহককে বিটিআরসির এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছে। কোন সিমটি বন্ধ হতে পারে বা ডিঅ্যাকটিভ করতে বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে গ্রাহককে বার্তাও দিয়েছে অপারেটরগুলো।
জানা গেছে, নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কয়টি সিম নিবন্ধন রয়েছে, একজন গ্রাহক তা সহজেই জানতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে। এর জন্য তাকে *১৬০০১# ডায়াল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চার ডিজিট পুশ করতে হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমএনএইচ