৭২ বছরের জীবনে ৬০ বছরই রাজনীতি চোখে দেখছি: প্রধানমন্ত্রী
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৪
ঢাকা: স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭২ বছর বয়সের জীবনে ৬০বছরই দেশের রাজনীতি চোখে দেখছি। অনেকে বলে থাকেন, রান্নাঘর থেকে রাজনীতিতে এসেছি। নো, আমি স্কুল জীবন থেকে রাস্তায় মিছিল করে তারপর কিন্তু রাজনীতিতে এসেছি।
শুক্রবার (২৬এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তিন দিনের ব্রুনেই সরকারি সফর নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে ফাকা কথা বললে, আর অপবাদ দিলে তো মেনে নেব না। কারণ আমার একটা বিবেচনা আছে, আমার দল সম্পর্কে, আমার দলের মানুষ সম্পর্কে। আমি তো নতুন না। আমি স্কুল জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এটা ভুললে চলবে না। অনেকে বলে থাকেন, পাকের ঘর থেকে রাজনীতিতে। নো, আমি স্কুল জীবন থেকে রাস্তায় মিছিল করে, তারপর কিন্তু আমি রাজনীতিতে এসেছি। কলেজ, ইউনিভার্সিটি, সবসময় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো বড় পদ চাইনি। বড় পদ নেইনি, নেবার প্রয়োজন মনে করি নাই। সেদিকে আমাদের দৃষ্টিও ছিল না। কাজেই এ ধরনের সবাইকে এখন যারা আছে তাদের বাবাকেও চিনতাম, কারও দাদাকেও চিনতাম। আমাদের কিন্তু জেনারেশনের পর জেনারেশন পার্টি করে যাচ্ছে। প্রত্যেকেরই কিন্তু ত্যাগের ইতিহাস আছে, এর মধ্যে ব্যতিক্রম নাই, তা না। ব্যতিক্রম তো থাকবেই, খন্দকার মোশতাকও ছিল, এরকম তো কিছু থাকেই। আবার ডিগবাজি খাওয়াও ছিল। বেশ কয়েকজনই ডিগবাজি পার্টি আছে। তুখোড় ছাত্রনেতা, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কিছু বললেই হাত দুটো উঠত কিন্তু বিএনপিতে গিয়ে আবার জিয়াউর রহমানের নামে স্লোগান দেয়।‘
তিনি আরও বলেন,‘আমার চোখে কিন্তু অনেক দেখা। আমি সবথেকে প্রবীণ এখন বলতে গেলে রাজনীতিতে, এটাও ভুলে যাইয়েন না। ৭২ বছর বয়সে আমি বলতে পারি যে, ৬০বছরই রাজনীতি অন্তত চোখে দেখছি।‘
দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির কথা বলছেন। একশো দিন হয়ে গেছে? কার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে? অভিযোগটা সুনির্দিষ্ট করেন, ব্যবস্থা নেবো। কারণ আমি দুর্নীতি করতেও বসিনি। আমি চাইও না কেউ তা করুক। দুর্নীতি কারা করেছে, কিভাবে করেছে বের করেন? ’
সারাবাংলা/এনআর/এসবি
গণভবন জিয়াউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু রাজনীতি