রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: উৎপাদন শুরু ২০২১ সালে
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:২৫
আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দ্রুত গতিতে চলছে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। ২০২১ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের কাজ ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। একযোগে চলছে প্রকল্পের বয়লার, চিমনিসহ অন্যান্য কার্যক্রম। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
যদিও শুরুতে দেশের পরিবেশবাদী একাধিক সংগঠন অভিযোগ করে, কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে রামপাল প্রকল্প পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। নিকটবর্তী সুন্দরবনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনবে। তবে কাজের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশবাদীদের সেই আন্দোলন থেমে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রকল্পের ২০ হাজার পাইলিংয়েল মধ্যে ১৬ হাজারের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জমির মাটির মান ভালো না হাওয়ায় পাইলিংও বেশি করে করতে হচ্ছে।
প্রকল্পটি সরকারের ১০ অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। তাই সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে এই প্রকল্পটি নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সেল পৃথকভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে প্রতিমাসে।
সর্বশেষ গত মাসের (মার্চ) মাঝামাঝি দুই দেশের সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রকল্পের সার্বিক কাজের বিষয় নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ওই বৈঠকে প্রকল্পটির প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ কমিশন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং দ্বিতীয় ইউনিট একই বছরের আগস্ট কমিশন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অবকাঠামোর প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় জনসাধারণ রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি মেনে নিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপিত হলে তাদের ‘সাময়িক ক্ষতি’ হলেও দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়নের স্বার্থে মেনে নেবেন। এদিকে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকল্পের চারপাশে প্রায় এক কোটি সুজ গাছ রোপন করা হয়েছে। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে আরও গাছ রোপণের পরিককল্পনা রয়েছে।
জানতে চাইলে রামপাল প্রকল্পের মুখপাত্র আনোয়ারুল আজিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করছি, ২০২১ সালে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হবে।’তবে এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে পরিক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবেন বলেও তিনি জানান।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএনএইচ