পাকিস্তানিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র!
২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৩
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও নির্বাসিত নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন সরকার। নিষেধাজ্ঞার আওতায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই)।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২৪৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ও নির্বাসিত নাগরিক বা বাসিন্দাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায় বা অন্যায়ত দেরি করে, তবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করতে পারবেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল এক ফেডারেল রেজিস্টারের এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে সকল মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে আরও নয় দেশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলো হচ্ছে গায়ানা, গাম্বিয়া, কম্বোডিয়া, ইরিত্রিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন, মিয়ানমার, লাওস ও ঘানা। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় আট দেশে।
এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি বাস্তবায়ন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র পিটিআইকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ বিষিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাক্কানি জানান, এই নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানিদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের যেসব নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া দরকার বা যেতে চান, এই সিদ্ধান্তের পর তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। পাকিস্তান সরকার যদি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান উপেক্ষা না করত, তাহলে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সকল পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনা পাকিস্তানের জন্য নতুন নয়। এখন মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের এমন ব্যবহার আর এড়িয়ে যেতে ইচ্ছুক না। ইসলামাবাদের নীতিমালা বিবেচনা করে অমায়িকতার জায়গায় এসেছে নিষেধাজ্ঞা আর বিধিনিষেধ।
সারাবাংলা/আরএ