সামরিক অভিযানে আহত শ্রীলংকায় হামলার মূল হোতার স্ত্রী-সন্তান
২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৪৯
এক সামরিক অভিযানে আহত হয়েছেন সম্প্রতি শ্রীলংকায় বোমা হামলার সন্দেহভাজন মূল হোতা জাহরান হাশিমের স্ত্রী ও সন্তান। একথা জানিয়েছে তার পরিবার ও পুলিশ।
শ্রীলংকার সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে আমপারা জেলার সেইন্টহামারুথু এলাকার একটি ‘সেফ হাউজে’ অভিযান চালায় সামরিক বাহিনী। অভিযানে ছয় শিশুসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি নিহত হন। এর মধ্যে তিন জনের শরীরে আত্মঘাতী বোমা বাঁধা ছিল।
এছাড়া, আহতদের মধ্যে হাশিমের স্ত্রী ও কন্যাও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে, জাহরানের বোন হাশিম মাথানিয়া ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, হ্যা, হাশিমের স্ত্রী ও কন্যা আহত হয়েছেন। আমাকে গিয়ে তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত নই আমি সেখানে যেতে পারবো কিনা।
হাশিমের গাড়ি চালকও গ্রেফতার
এছাড়া, একই এলাকায় অপর এক অভিযানে হাশিমের গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
তারা জানায়, অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র পতাকা, পোশাক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল শ্রীলংকার একাধিক গির্জা ও হোটেলসহ মোট আট জায়গায় বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার জন্য স্থানীয় চরমপন্থি দলগুলোকে দুষেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের ভাষ্য, কেবল স্থানীয় দলগুলোর পক্ষে এই হামলা চালানো সম্ভব নয়। এর পেছনে বিদেশি কোন শক্তি জড়িত রয়েছে।
উল্লেখ্য, হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি তারা।
এদিকে, পুলিশের ধারণা, হামলায় স্থানীয় চরমপন্থি দল ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) বা অন্যকোনো সহযোগী দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ হাশিম মোহাম্মদ জাহরান। তাকেই হামলার মূল হোতা হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ। আইএস’র প্রকাশিত এক ভিডিওতেও তাকে আইএস নেতা আবু ওমার আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি করতে দেখা যায়।
আরও একটি স্থানীয় চরমপন্থি দল ‘জামাতেই মিল্লাথু ইব্রাহিম’ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তবে কোনো দলের পক্ষেই পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। তাই দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারছে না তারা। এমতাবস্থায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিজের বিশেষ জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
উল্লেখ্য, হামলার দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএ