বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে হবে আন্তর্জাতিক সার্ফিং প্রতিযোগিতা
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১৭
কক্সবাজার: ১২ বছর আগে জাফর আলম নামে এক তরুণের হাত ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সার্ফিংয়ের শুরু। ধীরে ধীরে তা আকৃষ্ট করে স্থানীয় তরুণদের। র্ব্তমানে চারটি ক্লাবে দেড় শতাধিক সার্ফার দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন বঙ্গোপসাগরের বুক। বিদেশেও উত্তাল সমুদ্রে সার্ফিং করে দেশের জন্যও সুনাম বয়ে এনেছেন কেউ কেউ। গত পাঁচ বছর ধরে তো কক্সবাজারেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রতিযোগিতা। তাতে বিদেশিরাও অংশ নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্ফিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের আকর্ষণ বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে। আর সেই লক্ষ্যেই আগামী বছর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সার্ফিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন দিনব্যাপী জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা। এ বছর পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এই প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় পুরুষ সিনিয়র চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. ইউনুস, নারী বিভাগে শবে মেহরাজ। আর জুনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাগরল রহমান।
আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতায় দেশি সার্ফারদের পাশাপাশি বিদেশিরাও অংশ নিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতা এরই মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশি-বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে তা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্ফিংয়ের মর্যাদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আন্তর্জাতিক মানের সার্ফিং প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারলে তা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। সে কারণেই ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সার্ফিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন রোকন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সনে আমরা আন্তর্জাতিক সার্ফিং প্রতিযোগিতা আয়োজন করব। এই প্রতিযোগিতা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।
সার্ফিং উপযোগী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন সার্ফিং দ্য ন্যাশন-এর প্রতিষ্ঠাতা টম বাওয়ার। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার খুবই সুন্দর জায়গা। এখানের সমুদ্র সৈকত সার্ফিংয়ের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। একদিন এই সমুদ্র সৈকতেই অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক সার্ফিং প্রতিযোগিতা।
সার্ফাররা বলছেন, তারা নিছক সার্ফিংয়ের আনন্দ উপভোগের জন্যই সার্ফিং করেন না। বরং সার্ফিংয়ের মাধ্যমে তারা ভেসে যাওয়া পর্যটকদের জীবনও রক্ষা করেন। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতা হিসেবে সার্ফিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজারের আরও প্রচার ও প্রসার সম্ভব। তাই এই খেলার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
সারাবাংলা/টিআর