ঢাকা: হারুনুর রশিদ মোহাম্মদপুরের বসিলার মেট্রো হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে রোববার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টায় সেখানের একটি বাড়িতে অভিযানে যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এসময় ঘটনাস্থলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সারাবাংলাকে সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী হারুনুর রশিদ।
হারুনুর বলেন, ‘তখন রাত সাড়ে তিনটা হবে, হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এর ঠিক কিছু সময় পর প্রায় তিনটা বিকট শব্দে ঘরসহ কেঁপে উঠলাম। পাশের বাড়ির দিকটায় গোলাগুলির শব্দ চলছেই। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট। আতঙ্কে খাটের ওপর বসে রইলাম। কি করবো বুঝতেছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বাহির থেকে দরজায় ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে শুনে গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল। ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দেখি র্যাবের লোকজন। উনারা বললো আপনাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে এসেছি আমরা। পাশের বাড়িতে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হচ্ছে। এখুনি বেরিয়ে আসুন।’
আরও পড়ুন: বসিলার বাড়িটিতে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের অভিযান, ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন
হারুনুর আরও বলেন, ‘সাড়ে তিনটার দিকে ২০ মিনিটের গোলাগুলি আর তিনটা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের পর আর কোনো শব্দ পাইনি। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে আবারও বিরাট শব্দে একটা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। সেটিই ছিল শেষ শব্দ।’
জঙ্গিদের সম্পর্কে কিছু জানেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওই বাড়িটি টিনশেডের একতলা বাড়ি। ওখানে তিনটা পরিবার ভাড়া থাকতো। মাস-খানেক হলো দুইটা পরিবার চলে গেছে। পরে শুধু কেয়ার-টেকার আর তার পরিবার থাকে।’
হারুনুর জানান, ‘গত সপ্তাহখানেক আগে ওই বাড়ির একটা অংশ মসজিদ বানানো হয়েছে। মসজিদের জন্য নতুন একজন ইমাম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে আমরা চিনি না। বাড়ির মালিককে আমরা মুখ-চেনা চিনি। তেমন চিনি না। বাড়ির মালিকের নাম আব্দুল ওহাব। তিনি কোথায় থাকেন তা জানি না। তবে কেয়ারটেকার সোহাগ এখানে ডিসের লাইনেও কাজ করে।’
সারাবাংলা/এসএইচ/এনএইচ