হলি আর্টিজান মামলা: ২ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:০৬
ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় দুই প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মে দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
যে দুই জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে তারা হলেন— ইয়াং ফোর্সের সুপারভাইজার মো. লতিফুল বারী ও বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এই দু’জনসহ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে লতিফুল বারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের পাশেই আমাদের অফিস। ঘটনার সময় নিরাপত্তার কাজে আমি হলি আর্টিজানের পাশেই অবস্থান করছিলাম।’
লতিফুল বারী আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯ টার দিকে পাঁচজন সন্ত্রাসী কালো ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। এর কিছু সময় পর থেকে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায়। এভাবে সারারাত গোলাগুলি চলতে থাকে। পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সেনা কমান্ডো বাহিনী আসে। তাদের ঘিরে ফেলে। এরপর তাদের অ্যাটাক করে। পরের দিন এসআই রিপন কুমার দাস আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। হলি আর্টিজানের মামলার অস্ত্র-গুলি, ছোঁড়াসহ ২৫ প্রকার আলামত সনাক্ত করার কথা উল্লেখ করেন। লতিফুলের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ তাকে জেরা করেন।’
আরেক সাক্ষী সাইফুল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবুল হাসনাত রেজা করিমের মেয়ের জন্মদিন পালন উপলক্ষে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যাই। রাত ৯টার দিকে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলার সময় হাসনাত রেজা করিম স্বপরিবারে জিম্মি থাকেন। হামলার পর ১৫ আগস্ট পুলিশ হাসনাত করিমের বাসায় যায়। তার ল্যাপটপ, পাসপোর্ট জব্দ করে।’
উল্লেখ্য, মামলাটিতে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। পরে গত ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট পলাতক আসামি মো. শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের সম্পত্তি ক্রোক এবং তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে আদালত।
সারাবাংলা/এআই/এমও
হলি আর্টিজান হলি আর্টিজান মামলা হলি আর্টিজান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ