চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় উটপাখি-এমু
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাঘ, সিংহ, জেব্রার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শকদের জন্য আনা হয়েছে উটপাখি ও এমু। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুই জোড়া করে উটপাখি ও এমু চিড়িয়াখানায় অবমুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চার মাস আগে পরিকল্পনা করেছিলাম। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে একমাস আগে কার্যাদেশ দিয়েছিলাম। গতকাল (রোববার) হাতে পাবার পর আজ আমরা সেগুলো অবমুক্ত করেছি।’
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ সারাবাংলাকে জানান, বাংলাদেশি পাখি বিক্রেতাদের কাছ থেকে উটপাখি ও এমু সংগ্রহ করা হয়েছে। আফ্রিকা থেকে এনে বাংলাদেশে প্রজননের মাধ্যমে পাওয়া প্রতিজোড়া উটপাখির দাম পড়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতিজোড়া এমু পাখির দাম পড়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
একইভাবে ক্যাঙ্গারু সংগ্রহের প্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন শুভ। তিনি জানান, চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বর্গফুট জায়গায় মাটি ভরাট করে তিনটি খাঁচা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে দু’টিতে রাখা হয়েছে উটপাখি ও এমু পাখিগুলো।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় আছে বিভিন্ন প্রজাতির পাথি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৪ প্রজাতির প্রাণী। উটপাখী ও এমু মিলিয়ে এখন প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা ৬৬টি।
সারাবাংলা/আরডি/এমও