Sunday 06 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড় থেকে হেলিকপ্টারে এনে প্রসূতির প্রাণ বাঁচাল সেনাবাহিনী


২৯ এপ্রিল ২০১৯ ২০:৫২ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ২১:১৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার— তিন দেশের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম বগাখালী। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার এই দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে থেকে যেতে সময় লাগে সাত দিন। হাসপাতালের অভাবে সেই গ্রামে মরতে বসেছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক প্রসূতি। তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে এনে প্রাণ বাঁচিয়েছে সেনাবাহিনী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে জিতনি তংচঙ্গ্যা নামে এই নারীকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। জতনি তংচঙ্গ্যা বগাখালী গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র তংচঙ্গ্যার স্ত্রী।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার দিন ধরে এই নারী নিজ ঘরে প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়েছিল ধাত্রীকে। ধাত্রী প্রসব করাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু কাছাকাছি কোনো হাসপাতাল না থাকায় একপর্যায়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই ধরে নিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে সোমবার সকালে জতনিকে বগাখালীতে বিজিবি’র সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এই প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।

দুপুর ২টার দিকে হেলিকপ্টার সেনানিবাসে অবতরণের পর দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে জতনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। জতনি’র শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

এর আগে, গত ৩১ ডিসেম্বর একই গ্রাম থেকে সোনাপতি চাকমা নামে আরও এক প্রসূতিকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এনে প্রাণ বাঁচায় সেনাবাহিনী।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন দুর্গম এলাকা, যেখানে সাধারণত পৌঁছাতে দিনের পর দিন লেগে যায়, সেসব এলাকায় বসবাসকারীদের এই ধরনের সেবা নিয়মিত দিয়ে আসছে সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সদস্য চাথুইমা মারমা, লক্ষীছড়ি থানার পুলিশ কনস্টেবল মংজয় চাকমাকে উন্নত চিকিৎসা দিয়েছে সেনাবাহিনী। গত বছর খাগড়াছড়ির দুরছড়ি এলাকায় ডায়রিয়া দেখা দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় গিয়ে মানবিক সেবা দিয়ে অন্তত ৩০টি পরিবারের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে সুস্থ করে।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

প্রসূতি বগাখালী সেনাবাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর