বসিলায় জঙ্গি আস্তানা: অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করে মামলা
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:৫২
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা মেট্টো হাউজিং এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে র্যাব-২ বসিলা ক্যাম্পের ডিএডি মোহাম্মদ আব্দুলাহ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এই মামলা করেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-২ এর সিও (কমাণ্ডিং অফিসার) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আশিক বিল্লাহ মামলার বিষয়ে বলেন,মেট্টো হাউজিংয়ের টিনশেড ওই বাড়িতে জেএমবির একটি সক্রিয় গ্রুপ বিস্ফোরকদ্রব্য, বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে অভিযানে যায়। এরপরই রাত সাড়ে তিনটার দিকে প্রচণ্ড শব্দে একটি আইইডি বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে দুই জঙ্গির ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বসিলার বাড়িটিতে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের অভিযান, ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন
এই ঘটনায় দুই জঙ্গির প্রকৃত পরিচয় জানতে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যদিও ওই বাড়ির কেয়ার টেকার সোহাগ ও তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার র্যাবকে জানিয়েছেন, নিহত দুই জঙ্গির নাম সুজন ও সুমন। তাদের দেওয়া তথ্যও যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিও বলেন, বাড়ির কেয়ার টেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমি ও মসজিদের ইমাম ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কোনো দোষ পাওয়া না গেলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: জঙ্গি আস্তানা সন্দেহ: ঘটনাস্থলে কমান্ডো টিম, আটক ৩
এদিকে র্যাব সদর দফরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও র্যাবের অভিযানের ঘটনায় মৃত দুই জঙ্গির প্রকৃত পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে মৃত দুই জঙ্গি জেএমবির একটি গ্রুপের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ