নুসরাত হত্যা: সোনাগাজীর ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৭ মে
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৪৪
ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইননের দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ আগামী ২৭ মে নির্ধারণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সময়ের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেন তা মঞ্জুর করে নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
সোনাগাজীর মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি থানায় অভিযোগ দিতে আসার পর তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন করেন ও ভিডিওধারণ করে ছড়িয়ে দেন। এই অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ নুসরাতকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। সেখানে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে নুসরাতকে জেরা করতে থাকেন। ওই জেরার সময় ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ফেসবুক ও ইউটিউবে তা ছড়িয়ে দেন। ওই সময় মোয়াজ্জেম হোসেন অত্যন্ত অপমানজনক এবং আপত্তিকর ভাষায় প্রশ্ন করেন নুসরাতকে। এক পর্যায়ে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ওই ভিকটিমের শ্লীলতাহানিও করে। ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন যা করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওই ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করারও আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এর জেরে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। চলতি মাসের ১০ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নুসরাতের।
সারাবাংলা/এআই/এমআই