ঢাকায় বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চুক্তি সই
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৫০
ঢাকা: যানজট নিরসনে ঢাকার চারদিকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রেলভবনে এ বিষয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- চায়না রেলওয়ে সিয়ান সার্ভে ও ডেজিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান বিইটিএস কনসালটিং সার্ভিস লিমিটেড ও ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডভাইজার্স লিমিটেড (ইএএল)।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকার চারপাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকে কেন্দ্র করে এ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ করতে হবে। এর স্ট্যাডি করার সময় অন্যান্য সেবা সার্ভিসের সঙ্গে যাতে কোনো সাংঘর্ষিক না হয় সেদিকে নজর রাখার জন্য গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রস্তাবনা ও সম্ভাব্যতা অনুযায়ী বৃত্তাকার এই রেলপথের স্টেশন থাকবে ২০টি। গাজীপুরের টঙ্গী থেকে শুরু হয়ে আবার টঙ্গী স্টেশনে এসে শেষ হবে। এর মধ্যে টঙ্গী, দৌর, উত্তরা, বেরুলিয়া, মিরপুর চিড়িয়াখানা, গাবতলী, শংকর, নবাবগঞ্জ, বাবুবাজার, সদরঘাট, শ্যামপুর, ফতুল্লা, চাষাঢ়া, চৌধুরীবাড়ী, সিদ্ধিরগঞ্জ, ডেমরা, কায়েতপাড়া, বেরায়েত, পূর্বাচল ও তেরমুখ হয়ে আবারও টঙ্গী গিয়ে শেষ হবে।
এই রেল নেটওয়ার্ক হবে উচ্চতর বিদ্যুৎ এবং ডাবল লাইন স্ট্যান্ডার্ড গেজসম্পন্ন। বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের এই প্রকল্পের প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়েছিল ২০১৪ সালে। গত বছরের জানুয়ারিতে পরিকল্পনা কমিশন ২৭ কোটি টাকার ‘সমীক্ষা প্রকল্প’ অনুমোদনের পর ২৩ মে পরামর্শক নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন সাড়া দেয় ১৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে তারা তাদের প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। তার মধ্য থেকে মনোনীত যোগ্য ও উপযোগী প্রস্তাব বিবেচনায় চীনের প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল।
বৃহৎ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
সারাবাংলা/এসআর/জেএএম